মন বড় বদমাস । আমাদের আনন্দের কাছে কিছুতেই ঘেঁষতে দেয় না... আবার মন-ই কখনও সখনও পরম বন্ধু হয়ে যায় । কারণ মনের জোরেই অনেকে অনেক miracle করে থাকে - । কিন্তু শরীর দুর্বল হলে, মন পেয়ে বসে । সূক্ষ্ম আকারে বিরক্ত করতে থাকে এবং আমাদের স্বরূপ যে আনন্দ তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে থেকে রাত্তিরে শোয়া পর্যন্ত কতরকম কাজের (ঈশ্বরের কাজ?) মধ্যে জড়িয়ে থাকি, কিন্তু তবুও দেখো মন আনন্দে থাকে না । এক এক সময়, এইরকম হয়, মন একটা জিনিসই কেবল চায় । যেমন ধর, খিদে পেয়েছে, আমার এক্ষুণি খাবার চাই । ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যখন বায়না করে - হাত পা ছুঁড়ে বায়না করে । তখন বাবা মা ধমক দেয় বা অন্য দিকে "মন" ঘুরিয়ে দেয় যাতে করে খেলনা'র ওপর থেকে মন চলে যায় । তেমনি আমাদের "কাঁচা" "মন" ঐরকম বায়না গুলি প্রত্যহ করে । যদি সেই বায়না গুলি থেকে মন ঘোরানো না যায়, তবে শরীর হাত পা ছুঁড়ে আরও অস্থির করে তোলে (বাচ্চা হাত পা ছুঁড়লে, বাবা মা অস্থির হয়ে অনেক কিছু করে দেয় ।)
মোট কথা, মনের "দুষ্টু" ইশারাতে না সাড়া দিয়ে আনন্দের দিকে নিরন্তর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা । 😊
সেই অস্থিরতা বা চঞ্চলতা কে দূর করার জন্যই মন কে অন্য দিকে সরিয়ে নেওয়া - যেমন কোনো গল্প বলা - বা মজা করা বা আবৃত্তি করা বা গান করা/শোনা, ইত্যাদি ইত্যাদি ।
সেইটি যেইখানেই থাকি, সেইখানেই বসে করলেই আনন্দ ধীরে ধীরে ধরা দেয় । একটু ধৈর্য লাগে আরকি... মন ব্যাটা ঐ জায়গাটাতে আরো চেপে বসে - ঐ যে সময় (ধৈর্য রূপে) লাগে - সে দেখে - এর মধ্যেই ওকে (আনন্দকে) আরও কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে হবে নাহলে "দুষ্ট" আমি হেরে যাব । এই জেতা হারা'র খেলায় নিয়ে যায় । অথচ সে ("দুষ্ট" মন) ভুলে যায়, যে সে যার ("আনন্দ") সঙ্গে লড়তে/লড়ে যাচ্ছে, সে ("আনন্দ") এই হার-জিতের ওপরে বাস করে এবং তার ("দুষ্ট" মনের) এই খেলায় হেসে ফেলে । গেয়ে ওঠে "এমন মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা" ।
তাই আমাদের- সর্বক্ষণ এইটাই চেষ্টা করা উচিৎ - আনন্দম শুধু আনন্দম ।
যখন যেখানে থাকি - আনন্দম শুধু আনন্দম ।